ঢাকা ০৪:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
ভয়ংকর চাঁদাবাজ ইকবাল।

সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর চাঁদাবাজ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল

  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ২ নং ওয়ার্ড এ চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এই ইকবাল গিয়াসউদ্দীন এর ক্যাডার। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কে ঢাকা শহরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অন্যতম আসামি ।
  • গত বছর এক সাংবাদিক কে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ায় পর ও থেমে নেই তার চাঁদাবাজির রাজত্ব।কিছূদিন আগে চাঁদার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর গনঅধিকার পরিষদ এর সহ সভাপতি ও তার বৃদ্ধ মা কে ইকবাল তার অফিসে এনে মারধর করেন।৫ ই আগষ্ট এর সরকার পরিবর্তনের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪৫ টি হত্যা ও ৬ টি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে দেশ টিভির অনুসন্ধানে জানা গেছে এর অধিকাংশ মামলা মিথ্যা। বাদী স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির গিয়াস উদ্দিনের ক্যাডার ইকবাল ও বিদুৎ মামুন তাকে ভয়ভীতি ও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসামিদের নাম দিয়েছেন।২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের লোকজনকে মামলা দিয়েছে এবং বিএনপির মামুন মাহমুদ বলয়ের লোকজনকে ও মামলায় জড়িয়েছে।২ নং ওয়ার্ড এর অনেক নিরিহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। ঐ সময় তারা বিভিন্ন মানুষের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদা নিয়েছে মামলার ভয় দেখিয়ে । ২ নং ওয়ার্ড এ ইকবাল ও তার বোন জামাই মোক্তার, পলাশ, জসিম, জহিরুল , মাইটাল ফারুক সাইফুল, আশিক মাহমুদ সোহেল তাদের নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল একটা চাঁদাবাজির সন্ত্রাসী গ্ৰুপ তৈরি করেছেন। এলাকায় যারা জমি ,কেনা বেচা, ও বিল্ডিং নির্মাণ করেন কিন্তু তারা ইকবাল কে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে  তাদের কে অফিসে এনে টর্চার করা হয় ও আওয়ামীলীগ এর ট্যাগ দিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখায় ।এবং মাদক ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে এলাকায় মাদকের স্বর্গ রাজ্য পরিনত করেছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন (ইকবাল এর বিয়াই)এর মিতালী মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে । ইকবাল সাহেব পারা কলার জয়নাল এর জায়গায় জবরদখল করে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে।ইয়াছিন এর ইচ্ছায় চাঁদাবাজ এর সকল সেক্টর এখন ইকবাল নিয়ন্ত্রণ করছেন। মিতালী মার্কেটে ইয়াছিন এর ক্যাশিয়ার সিপন চাঁদার টাকা ইকবাল কে দিচ্ছে ও ইয়াছিন কেও দিচ্ছে।দক্ষিণ পাড়া দশপাইপ এলাকায় সকল মেলা দোকান ব্যাবসায়ী থেকে চাঁদা আদায় করেছে । এবং মাদ্রাসা রোড জমি ব্যাবসায়ী কালামের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিছু দিন আগে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে তেলের পাম্পের মালিক মরহুম জালাল সাহেব এর জমিতে কাজে বাধা প্রদান করে এবং জমি জবরদখল করে চাদা দাবি করেন। ২নং ওয়ার্ড এর সকল জমি ব্যাবসায়ীদের হুমকি প্রদান করেছেন যে জমি ক্রয়,বিক্রয়ের জন্য তাকে চাদা প্রদান করতে হবে। এমন কি ১ নং ওয়ার্ডে রহিম মেম্বারের ভাই সিরাজুল ইসলাম এর জমিতে চাঁদার জন্য কাজে বাধা প্রদান করে।যেভাবে ইকবাল তার সন্ত্রাসীদের দ্বারা সারা সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে যা সামনে নির্বাচনে দলকে ভরাডুবি হতে হবে মনে করেন সাধারণ মানুষ।

সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর চাঁদাবাজ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল

ভয়ংকর চাঁদাবাজ ইকবাল।

সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর চাঁদাবাজ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল

আপডেট সময় : ০৯:৪০:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫
  • সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল ২ নং ওয়ার্ড এ চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। এই ইকবাল গিয়াসউদ্দীন এর ক্যাডার। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কে ঢাকা শহরে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় অন্যতম আসামি ।
  • গত বছর এক সাংবাদিক কে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ায় পর ও থেমে নেই তার চাঁদাবাজির রাজত্ব।কিছূদিন আগে চাঁদার জন্য নারায়ণগঞ্জ মহানগর গনঅধিকার পরিষদ এর সহ সভাপতি ও তার বৃদ্ধ মা কে ইকবাল তার অফিসে এনে মারধর করেন।৫ ই আগষ্ট এর সরকার পরিবর্তনের পর সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ৪৫ টি হত্যা ও ৬ টি হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত কয়েকদিন আগে দেশ টিভির অনুসন্ধানে জানা গেছে এর অধিকাংশ মামলা মিথ্যা। বাদী স্বীকার করেছেন যে, বিএনপির গিয়াস উদ্দিনের ক্যাডার ইকবাল ও বিদুৎ মামুন তাকে ভয়ভীতি ও টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বাক্ষর নিয়ে আসামিদের নাম দিয়েছেন।২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের লোকজনকে মামলা দিয়েছে এবং বিএনপির মামুন মাহমুদ বলয়ের লোকজনকে ও মামলায় জড়িয়েছে।২ নং ওয়ার্ড এর অনেক নিরিহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। ঐ সময় তারা বিভিন্ন মানুষের কাছে লক্ষ লক্ষ টাকা চাদা নিয়েছে মামলার ভয় দেখিয়ে । ২ নং ওয়ার্ড এ ইকবাল ও তার বোন জামাই মোক্তার, পলাশ, জসিম, জহিরুল , মাইটাল ফারুক সাইফুল, আশিক মাহমুদ সোহেল তাদের নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল একটা চাঁদাবাজির সন্ত্রাসী গ্ৰুপ তৈরি করেছেন। এলাকায় যারা জমি ,কেনা বেচা, ও বিল্ডিং নির্মাণ করেন কিন্তু তারা ইকবাল কে চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে  তাদের কে অফিসে এনে টর্চার করা হয় ও আওয়ামীলীগ এর ট্যাগ দিয়ে মামলার ভয়ভীতি দেখায় ।এবং মাদক ব্যবসায়ী দের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে এলাকায় মাদকের স্বর্গ রাজ্য পরিনত করেছে। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন (ইকবাল এর বিয়াই)এর মিতালী মার্কেট দখলের অভিযোগ উঠেছে । ইকবাল সাহেব পারা কলার জয়নাল এর জায়গায় জবরদখল করে ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়েছে।ইয়াছিন এর ইচ্ছায় চাঁদাবাজ এর সকল সেক্টর এখন ইকবাল নিয়ন্ত্রণ করছেন। মিতালী মার্কেটে ইয়াছিন এর ক্যাশিয়ার সিপন চাঁদার টাকা ইকবাল কে দিচ্ছে ও ইয়াছিন কেও দিচ্ছে।দক্ষিণ পাড়া দশপাইপ এলাকায় সকল মেলা দোকান ব্যাবসায়ী থেকে চাঁদা আদায় করেছে । এবং মাদ্রাসা রোড জমি ব্যাবসায়ী কালামের কাছে ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। কিছু দিন আগে মৌচাক বাসস্ট্যান্ডে তেলের পাম্পের মালিক মরহুম জালাল সাহেব এর জমিতে কাজে বাধা প্রদান করে এবং জমি জবরদখল করে চাদা দাবি করেন। ২নং ওয়ার্ড এর সকল জমি ব্যাবসায়ীদের হুমকি প্রদান করেছেন যে জমি ক্রয়,বিক্রয়ের জন্য তাকে চাদা প্রদান করতে হবে। এমন কি ১ নং ওয়ার্ডে রহিম মেম্বারের ভাই সিরাজুল ইসলাম এর জমিতে চাঁদার জন্য কাজে বাধা প্রদান করে।যেভাবে ইকবাল তার সন্ত্রাসীদের দ্বারা সারা সিদ্ধিরগঞ্জে চাঁদাবাজির কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এতে বিএনপির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে যা সামনে নির্বাচনে দলকে ভরাডুবি হতে হবে মনে করেন সাধারণ মানুষ।