নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আবাসিক এলাকায় নীলাচল বাস ডিপোকে কেন্দ্র করে বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (১৫ মার্চ) রাতে ২ নং ওয়ার্ডে মৌচাক মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকায় বহিষ্কৃত ভিজিটিং কার্ড নেতা সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু’র অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এতে দুই পক্ষের সাত জন আহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
এর আগে গত শনিবার মধ্যরাতে নীলাচল পরিবহনের একটি বাসের ধাক্কায় মুক্তাঝিল এলাকার একটি মসজিদের দেয়াল (কার্নিশ) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এরপর মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু ও এলাকাবাসী নীলাচল বাসের কর্তৃপক্ষকে বাস ডিপো সরিয়ে নিতে বলেন। দুই মাসের মধ্যে ডিপোটি সরিয়ে নিতে সমঝোতা হয়।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব পাপ্পু বলেন, মুক্তাঝিল আবাসিক এলাকার একটি মসজিদের কার্নিশের দেয়াল নীলাচলের বাসের ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
এ নিয়ে এলাকাবাসী ও আমরা প্রতিবাদ জানাই এবং তাদেরকে বাস ডিপোটি সরিয়ে নিতে বলি। বাস কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে সমঝোতা করে দুই মাসের সময় নেয়। কিন্তু ইকবাল এই নিলাচল বাস ডিপো থেকে মাসিক ১ লক্ষ টাকা চাঁদা নিয়ে আসছে ৭ মাস যাবত এর আগে চাদা নিয়েছে ইকবাল এর বিয়াই সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন।তাই বাস ডিপো স্থান পরিবর্তন করা হলে তাদের চাদা পাবে না এই জন্যই বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা ইকবাল বাহিনীর ক্যাডার ইকবাল এর বোন জামাই নাসিক ২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুক্তার হোসেন এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পলাশের নেতৃত্বে পিস্তলসহ দেশিয় অস্ত্রসহ ৫০/৬০ জন সন্ত্রাসী আমাদের উপর অতর্কিত হামলা করে। এলাকাবাসী জানায় এই আবাসিক এলাকায় এই নিশাচর বাস ডিপো অনেক এক্সিডেন্ট করে মানুষ হত্যা করে তাই নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য এই আবাসিক এলাকা থেকে স্থানান্তরের জন্য বাধা সৃষ্টি করে আসছে চাঁদাবাজ ইকবাল এদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন মনে করে এলাকাবাসী।
বিশেষ প্রতিনিধি।। সিদ্ধিরগঞ্জ।। নারায়ণগঞ্জ। 









