ঢাকা ০৬:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
আজহারুল ইসলাম মান্নান বাড়ী দখল করেছেন।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এর বিরুদ্ধে বাড়ী দখলের অভিযোগ।

এবার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি চার তলা ভবন দখলের অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগি।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন পিরোজপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মমতাজ বেগম।

 

মমতাজ বেগমের সাথে এসময় তার স্বামী তমিজ উদ্দিন, ছেলে মাহবুব হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে অভিযোগ উত্থাপন করে সকলের সহায়তা কামনা করেন।

 

এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বিকার করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

 

মান্নান জানান, আমরা দখল করি নাই, আমরা আমাদের জায়গাই পুনরুদ্ধার করেছি।

 

ঘটনার সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকারে পাচ্ছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মমতাজ বেগম।

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বার মমতাজ বেগম বলেন, ‘২০০১ সালে তিনি তার জমিতে ৪তলা ভবন নির্মণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সকারের পতনের পর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে যুবদল নেতা খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ ও বাবুসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী প্রথমে মমতাজ বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

 

৬ আগস্ট তার চার তলা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট করে।

 

মমতাজ বেগমসহ পরিবারের লোকজনদের মারধর করে টেনে হেছড়ে বের করে দিয়ে ভবনটি দখল করে নেয় ওই সময়। বাড়ির আম, জাম, কাঁঠাল ও কাঠ গাছসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির প্রধান ফটক সংলগ্ন ভাড়া দেয়া ৩টি দোকানও ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে দেয়।

 

বাড়ির প্রধান ফটক ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ভবনের ভিতরের কেচিগেইটসহ সব রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে ১১ আগস্ট সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা এবং ২৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এখন আমাদের বসবাসের কোন জায়গা নাই। পরিবার নিয়ে বাইরে অবস্থান করতে হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষপ কামনা করছি যাতে আমি তদন্তপূর্বক আমার বাড়ি ফিরে পাই।

 

গুরুতর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘এটি মুলত আমাদের জায়গা ছিলো। এই মহিলা ও তার স্বামী মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এটা দখল করে রেখেছিলো। আমরা বিভিন্ন হামলা মামলার কারণে আমাদের জমিতে যেতে পারি নাই। আমরা আমাদের জায়গা দখলে নেওয়ার পর দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি, জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রমানাদিও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। একই জিনিস আমরা ডিসি সাহেবকেও দিয়েছি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও দিয়েছি।

মন্তব্য করুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইনফরমেশন সেভ করুন

সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর চাঁদাবাজ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল

আজহারুল ইসলাম মান্নান বাড়ী দখল করেছেন।

সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান এর বিরুদ্ধে বাড়ী দখলের অভিযোগ।

আপডেট সময় : ০৫:৩৫:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জানুয়ারী ২০২৫

এবার সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার লোকজনের বিরুদ্ধে একটি চার তলা ভবন দখলের অভিযোগ করেছে ভুক্তভুগি।

রোববার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন পিরোজপুর ইউপির ৯নং ওয়ার্ডে সাবেক মেম্বার মমতাজ বেগম।

 

মমতাজ বেগমের সাথে এসময় তার স্বামী তমিজ উদ্দিন, ছেলে মাহবুব হোসেনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা উপস্থিত থেকে অভিযোগ উত্থাপন করে সকলের সহায়তা কামনা করেন।

 

এমন গুরুতর অভিযোগ অস্বিকার করেছেন আজহারুল ইসলাম মান্নান।

 

মান্নান জানান, আমরা দখল করি নাই, আমরা আমাদের জায়গাই পুনরুদ্ধার করেছি।

 

ঘটনার সম্পর্কে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকারে পাচ্ছেন না বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন মমতাজ বেগম।

 

 

 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মেম্বার মমতাজ বেগম বলেন, ‘২০০১ সালে তিনি তার জমিতে ৪তলা ভবন নির্মণ করে বসবাস করে আসছিলেন। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সকারের পতনের পর সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি আজহারুল ইসলাম মান্নান ও তার ছেলে যুবদল নেতা খায়রুল ইসলাম সজিবের নেতৃত্বে জুয়েল, রিপন, আলী নূর, খোরসেদ ও বাবুসহ অজ্ঞাত ১০০ থেকে ১৫০ জন সন্ত্রাসী প্রথমে মমতাজ বেগমের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়।

 

৬ আগস্ট তার চার তলা ভবনে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাট করে।

 

মমতাজ বেগমসহ পরিবারের লোকজনদের মারধর করে টেনে হেছড়ে বের করে দিয়ে ভবনটি দখল করে নেয় ওই সময়। বাড়ির আম, জাম, কাঁঠাল ও কাঠ গাছসহ প্রায় ৬০ থেকে ৭০টি বিভিন্ন প্রজাতির গাছ কেটে নিয়ে যায়। এখানেই শেষ নয়, বাড়ির প্রধান ফটক সংলগ্ন ভাড়া দেয়া ৩টি দোকানও ভাংচুর করে উচ্ছেদ করে ৭ থেকে ৮ ফুট উঁচু দেয়াল নির্মাণ করে দেয়।

 

বাড়ির প্রধান ফটক ইটের দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দিয়ে ভবনের ভিতরের কেচিগেইটসহ সব রুমে তালা লাগিয়ে দেয়। এই ঘটনার পর প্রতিকার চেয়ে ১১ আগস্ট সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ১৮ আগস্ট সোনারগাঁও থানা এবং ২৩ সেপ্টেম্বর সোনারগাঁয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাম্প বরাবর লিখিত অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না তারা।

 

সংবাদ সম্মেলনে মমতাজ বেগম কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, এখন আমাদের বসবাসের কোন জায়গা নাই। পরিবার নিয়ে বাইরে অবস্থান করতে হচ্ছে। অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষপ কামনা করছি যাতে আমি তদন্তপূর্বক আমার বাড়ি ফিরে পাই।

 

গুরুতর এমন অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যম কে আজহারুল ইসলাম মান্নান বলেন, ‘এটি মুলত আমাদের জায়গা ছিলো। এই মহিলা ও তার স্বামী মিলে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তারা এটা দখল করে রেখেছিলো। আমরা বিভিন্ন হামলা মামলার কারণে আমাদের জমিতে যেতে পারি নাই। আমরা আমাদের জায়গা দখলে নেওয়ার পর দলের হাইকমান্ডকেও জানিয়েছি, জমির কাগজপত্র ও বিভিন্ন প্রমানাদিও তাদের কাছে পাঠিয়েছি। একই জিনিস আমরা ডিসি সাহেবকেও দিয়েছি, সেনাবাহিনীর ক্যাম্পেও দিয়েছি।