সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম ও বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক ইকবাল এর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি বিলুপ্ত হতে চলেছে। যে কোন সময়ে ওই কমিটি বাতিল করে নতুন করে কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় নির্দেশনা রয়েছে। নতুন কমিটিতে বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে মাঠে থাকা সক্রিয় নেতাদের পদায়িত করতে বলা হয়েছে।

২০২৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাজেদুল ইসলামকে আহবায়ক ও নাসিক ২নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ইকবাল হোসেনকে সদস্য সচিব করে ৫১ সদস্যবিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন ও সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন। ওই বছরের ৫ মে মাজেদুল ইসলামকে সভাপতি এবং ইকবাল হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির কমিটি গঠিত হয়।

দলের একটি সূত্র জানান, ২৬ জুলাই দলের কেন্দ্রীয় নীতি নির্ধারণী ফোরামের সঙ্গে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির শীর্ষ নেতাদের বৈঠক হয়। সেখানে সাংগঠনিক বিভিন্ন আলোচনায় উঠে আসে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা কমিটির বিষয়টি। সেখানেই এ কমিটি বিলুপ্ত করে আরো শক্তিশালী করার উপর জোর দেওয়া হয়।

গত ১৩ ডিসেম্বর দুপুর ১২ টায় সিদ্ধিরগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সানারপাড় এলাকায় বাসচালক ও যাত্রীকে মারধর করে গাড়ি ভাঙ্গচুর করে বহিষ্কার হোন সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। কিছু দিন আগে ইকবাল গন অধিকার পরিষদ এর নারায়ণগঞ্জ মহানগর সহ-সভাপতি কে চাদার জন্য মারধরের ঘটনায় ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। জমি জবরদখল ও জমি ব্যবসায়ীদের নিকট চাঁদার জন্য মারধর ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির ও টাকা দাবির অভিযোগ রয়েছে।

কিন্তু কমিটি বিলুপ্ত করা হলে সহসাই ইকবালের বহিষ্কারাদেশ তুলে নেওয়া হচ্ছে না এটাও নিশ্চিত। যদিও তিনি সিদ্ধিরগঞ্জ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াছিন এর বিয়াই হিসেবে ২ নং ওয়ার্ডে সকল সেক্টর থেকে চাদা নিয়ে আসছে।

সংশ্লিষ্টরা জানান, নতুন কমিটিতে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির আরও একটি অংশের নেতা অখিল উদ্দিন ভূঁইয়াসহ সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সাবেক আহবায়ক আব্দুল হাই রাজু আলোচনায় আছেন।