ঢাকা ১২:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫, ১২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন এর নেতৃত্বে হামলা।

২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার বাহিনী প্রধান সরলের বিরুদ্ধে চাঁদার জন্য হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।।

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার  সরলের বিরুদ্ধে। এ সময় প্রাণ ভিক্ষা ও ঘটনা কাউকে না জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

আহত শাহ আলম শাহিন (২৭) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সানারপাড় এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে।অভিযুক্ত  সরল (৪০) নাসিক ২নং ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া এলাকার নাদিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি ও ছিনতাই-ডাকাতিসহ সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সাইনবোর্ড এলাকায় ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার সরল পরিবহন টিকিট কাউন্টারের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহিন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে এবং দুই গ্ৰুপ চাঁদাবাজির টাকা দখল নিয়ে মারামারি করে ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের বাবা বাদী হয়ে  সরলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহ আলম শাহিন সাইনবোর্ড এলাকায় বাসের টিকিট বিক্রির পাশাপাশি একটি চায়ের দোকান দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিয়ে দোকান দিতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সরল। অন্যথায় সাইনবোর্ড এলাকায় ব্যবসা করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। শাহিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সরলের ভাই নিশাদ (২৮), সহযোগী সুমন (৩৫), মেহেদী (২৮), হেলাল ফরাজী (৪৫), রুদ্র (২৫), রানা (২৫) ও মিলন (৩৫) মিলে সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শাহিনকে তুলে নিয়ে যায়। একটি প্রাইভেটকারে করে তাকে মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে শাহিন গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে সানারপাড় এলাকার পিডিকে পাম্পের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ আলম শাহিন বলেন, মারধর করার সময় সরলের পায়ে ধরে জীবন ভিক্ষা চাই। যেভাবেই হোক ২-৩ দিনের মধ্যে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। এ ঘটনায় যেন আইনের আশ্রয় না নেই এবং প্রকাশ না করি এ শর্তে আমাকে প্রাণে না মেরে রাত ১টার দিকে পিডিকে পাম্প এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়। তার আগে আমার হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা ভিডিও করে রাখে। হুমকি দেয় এ নিয়ে মুখ খুললে এ ভিডিও প্রশাসনের কাছে দিয়ে আমাকে ছিনতাইকারী বানিয়ে দেবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সরলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তিনি ও তার বাহিনী গা ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় অভিযুক্ত কাউকে পাইনি। মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

সিদ্ধিরগঞ্জে ভয়ংকর চাঁদাবাজ থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল

২নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার হোসেন এর নেতৃত্বে হামলা।

২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার বাহিনী প্রধান সরলের বিরুদ্ধে চাঁদার জন্য হত্যা চেষ্টার অভিযোগ।।

আপডেট সময় : ১২:৫৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৫ এপ্রিল ২০২৫

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতাকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার  সরলের বিরুদ্ধে। এ সময় প্রাণ ভিক্ষা ও ঘটনা কাউকে না জানানোর প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি প্রাণে বেঁচে যান।

আহত শাহ আলম শাহিন (২৭) নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ৩নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক। তিনি দক্ষিণ সানারপাড় এলাকার আব্দুর রশিদ মোল্লার ছেলে।অভিযুক্ত  সরল (৪০) নাসিক ২নং ওয়ার্ডের সাহেবপাড়া এলাকার নাদিমের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, মারামারি ও ছিনতাই-ডাকাতিসহ সিদ্ধিরগঞ্জ-ফতুল্লা থানায় ১১টি মামলা রয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সাইনবোর্ড এলাকায় ২ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোক্তার এর ক্যাডার সরল পরিবহন টিকিট কাউন্টারের চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে। কিন্তু স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা শাহিন আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করে এবং দুই গ্ৰুপ চাঁদাবাজির টাকা দখল নিয়ে মারামারি করে ও ৫০ হাজার টাকা চাঁদা ভাগাভাগি নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহতের বাবা বাদী হয়ে  সরলসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা করেন।মামলার এজাহারে বলা হয়, শাহ আলম শাহিন সাইনবোর্ড এলাকায় বাসের টিকিট বিক্রির পাশাপাশি একটি চায়ের দোকান দেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। এতে বাধা দিয়ে দোকান দিতে হলে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেন সরল। অন্যথায় সাইনবোর্ড এলাকায় ব্যবসা করতে দেবেন না বলে হুমকি দেন। শাহিন চাঁদা দিতে অস্বীকার করেন। তার জেরে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে সরলের ভাই নিশাদ (২৮), সহযোগী সুমন (৩৫), মেহেদী (২৮), হেলাল ফরাজী (৪৫), রুদ্র (২৫), রানা (২৫) ও মিলন (৩৫) মিলে সাইনবোর্ড এলাকা থেকে শাহিনকে তুলে নিয়ে যায়। একটি প্রাইভেটকারে করে তাকে মিতালী মার্কেটের ১নং ভবনে তাদের টর্চার সেলে নিয়ে যায়।

সেখানে নিয়ে লোহার পাইপ, হকিস্টিক দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। এতে শাহিন গুরুতর আহত হয়ে পড়লে তাকে সানারপাড় এলাকার পিডিকে পাম্পের পাশে ফেলে দিয়ে চলে যায়। পরে লোক মারফত খবর পেয়ে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়।

স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শাহ আলম শাহিন বলেন, মারধর করার সময় সরলের পায়ে ধরে জীবন ভিক্ষা চাই। যেভাবেই হোক ২-৩ দিনের মধ্যে তাকে ৫০ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিই। এ ঘটনায় যেন আইনের আশ্রয় না নেই এবং প্রকাশ না করি এ শর্তে আমাকে প্রাণে না মেরে রাত ১টার দিকে পিডিকে পাম্প এলাকায় এনে ছেড়ে দেয়। তার আগে আমার হাতে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে তারা ভিডিও করে রাখে। হুমকি দেয় এ নিয়ে মুখ খুললে এ ভিডিও প্রশাসনের কাছে দিয়ে আমাকে ছিনতাইকারী বানিয়ে দেবে।

এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সরলের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ঘটনার পর থেকেই তিনি ও তার বাহিনী গা ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানায়। তার মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।

সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। এ সময় অভিযুক্ত কাউকে পাইনি। মামলা হয়েছে, আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।